Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র
স্থান
পায়রা বন্দ ইউনিয়ন
কিভাবে যাওয়া যায়
রংপুর থেকে অটো ,বাস ,মোটর সাইকেল ও অন্যান্য বাহনে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র যাওয়া যায়।
বিস্তারিত

উনবিংশশতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে বেগম রোকেয়াসাখাওয়াত অনন্য নারী ব্যক্তিত্ব। বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবেগণ্য করা হয় তাকে।

রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮০ সালে রংপুর জেলারপায়রাবন্দর গ্রামে। মুসলিম সমাজব্যবস্থা অনুসারে রোকেয়া ও তার বোনদেরবাইরে পড়াশোনা করতে পাঠানো হয়নি, তাদের ঘরে আরবি ও উর্দু শেখানো হয়। তবেরোকেয়ার বড় ভাই ইব্রাহীম সাবের আধুনিক মনস্ক ছিলেন। তিনি রোকেয়া ওকরিমুন্নেসাকে ঘরেই গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শেখান। রোকেয়ার জ্ঞানপিপাসা ছিলঅসীম। গভীর রাতে সবাই ঘুমালে চুপি চুপি বিছানা ছেড়ে মোমবাতির আলোতে বড়ভাইয়ের কাছে ইংরেজি ও বাংলা শেখেন।

১৮৯৬ সালে ১৬ বছর বয়সে রোকেয়ারবিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে।বিয়ের পর তিনি 'বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন' নামে পরিচিত হন। তারস্বামী মুক্তমনা মানুষ ছিলেন। রোকেয়াকে তিনি লেখালেখি করতে উৎসাহ দেন এবংএকটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন। রোকেয়া সাহিত্যচর্চা শুরুকরেন। ১৯০২ সালে পিপাসা নামে একটি বাংলা গল্পের মধ্য দিয়ে তিনি সাহিত্যজগতে পদার্পণ করেন।

১৯০৯ সালে সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। এরপাঁচ মাস পর রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল নামে একটি মেয়েদেরস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন ভাগলপুরে। ১৯১০ সালে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার ফলেস্কুল বন্ধ করে তিনি কলকাতায় চলে যান। এখানে ১৯১১ সালের ১৫ মার্চ তিনিসাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল পুনরায় চালু করেন। প্রাথমিক অবস্থায়ছাত্রী ছিল ৮ জন। চার বছরের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪-তে। ১৯৩০ সালেরমাঝে এটি হাইস্কুলে পরিণত হয়। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্কুল পরিচালনা ওসাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ওসামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদেরসংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সভায় তারবক্তব্য তুলে ধরেন। ১৯২৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষাবিষয়কসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনা সুলতানার স্বপ্ন।এটিকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়। তার অন্যান্যগ্রন্থগুলো হলো পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী, মতিচুর। তার প্রবন্ধ গল্প, উপন্যাসেরমধ্য দিয়ে তিনি নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর লিঙ্গসমতার পক্ষে যুক্তিতুলে ধরেছেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেন।